ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক সিটির মেয়র প্রার্থী জোহরান মামদানি। জোহারান বলেছিলেন যে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদির দৃষ্টিভঙ্গিতে, শুধুমাত্র নির্দিষ্ট ধরণের ভারতীয়দের জন্য স্থান রয়েছে।
দিওয়ালি উপলক্ষে আয়োজিত একটি ভারতীয়-আমেরিকান সম্প্রদায়ের অনুষ্ঠানে ভাষণ দিতে গিয়ে, জোহারান মামদানি পুনর্ব্যক্ত করেছেন যে ভারত সম্পর্কে তার দৃষ্টিভঙ্গি প্রধানমন্ত্রী মোদি এবং ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) থেকে আলাদা।
আমার সমালোচনা বিজেপি আর তিনি মোদির চিন্তা-ভাবনা-মামদানি অনুসরণ করছেন
জোহরান মামদানি বলেন, ‘আমি প্রধানমন্ত্রী মোদির সমালোচনা করি কারণ আমি যে ভারতে বড় হয়েছি সেটি বহুত্ববাদী ভারত। এমন ভারত যেখানে সব ধর্মের মানুষ সমানভাবে বসবাস করত। আমার সমালোচনা মোদী এবং বিজেপির চিন্তাধারার দিকে হয়েছে যেখানে কেবল নির্দিষ্ট ধরণের ভারতীয়দের জন্য স্থান রয়েছে। আমি বিশ্বাস করি যে এর বহুত্ববাদী চিন্তাধারা উদযাপন করা উচিত এবং এটি গ্রহণ করার প্রচেষ্টা করা উচিত।
তিনি বলেন, ‘আমি জানি সাড়ে আট কোটি মানুষের শহর নিউইয়র্ক সিটির মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সম্পর্কে এখানে অনেকেরই আমার থেকে ভিন্ন মত থাকতে পারে এবং এটি তাদের অধিকার এবং আমি সবাইকে সমানভাবে প্রতিনিধিত্ব করব কারণ প্রতিটি নিউইয়র্কবাসী যেন নিরাপদ বোধ করে এবং এই শহরে আরামে বসবাস করতে পারে তা নিশ্চিত করা আমার কর্তব্য।
গুজরাট দাঙ্গা নিয়েও সমালোচিত হয়েছেন মোদি
উল্লেখ্য, ভারতীয়-আমেরিকান চলচ্চিত্র নির্মাতা মীরা নায়কের ছেলে জোহারান মামদানি এর আগে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কড়া সমালোচক ছিলেন। তিনি প্রধানমন্ত্রী মোদিকে যুদ্ধাপরাধী বলেছেন। এছাড়া ২০০২ সালের গুজরাট দাঙ্গার জন্য গুজরাটের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রীকেও দায়ী করেন তিনি। নরেন্দ্র মোদি নিন্দা করেছিলেন।
মামদানি, যিনি নিজেকে গণতান্ত্রিক সমাজতান্ত্রিক বলে দাবি করেন, তার নির্বাচনী প্রচারণার সময় নিউইয়র্কে ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতি এবং জীবনযাত্রার ব্যয় কমানোর দিকে মনোনিবেশ করেছেন। উপরন্তু, তারা তাদের প্রচারণাকে তৃণমূল পর্যায়ে নিয়ে যেতে জনসংযোগ এবং বিশেষ করে সোশ্যাল মিডিয়ার কৌশল ব্যবহার করেছে। এ কারণে তিনি বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের কাছে জনপ্রিয়ও হয়েছেন।
এছাড়াও পড়ুন: ভয়ঙ্কর সড়ক দুর্ঘটনায় হতবাক উগান্ডায় বাস ও যানবাহনের সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই ৬৩ জনের মৃত্যু




