আমেরিকা ও রাশিয়ার মধ্যে বিরোধ শেষ হবে বলে মনে হচ্ছে না। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবার রাশিয়ার বিরুদ্ধে বড় পদক্ষেপ নিয়েছেন। বুধবার (২২ অক্টোবর) তিনি রাশিয়ার দুটি বড় তেল কোম্পানিকে নিষিদ্ধ করেছেন। এই পদক্ষেপ নিয়ে ট্রাম্প সরাসরি প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে চ্যালেঞ্জ করেছেন। আমেরিকার এই পদক্ষেপ রাশিয়ার উপর চাপ বাড়াতে দেখা যাচ্ছে। ট্রাম্প ইউক্রেন যুদ্ধের বিষয়ে পদক্ষেপ নিয়েছেন।
রাশিয়ার রোসনেফ্ট ও লুকোয়েল কোম্পানিকে নিষিদ্ধ করেছে আমেরিকা। গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল ভারত এই দুটি কোম্পানি থেকে তেল কেনে। এখন এই নিষেধাজ্ঞার প্রভাব ভারতেও বাড়তে পারে। রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ট্রাম্প বলেন, আমি যতবারই ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে কথা বলি ততবারই কথোপকথন ভালো হয়, কিন্তু তা এগোয় না।
পুতিনকে নিয়ে হোয়াইট হাউসে কী বললেন ট্রাম্প?
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে পুতিনের তীব্র সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, তারা শান্তির ব্যাপারে মোটেও সিরিয়াস নয়। তবে নতুন বিধিনিষেধ সমাধান দেবে। আমরা দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করেছি, কিন্তু এখন সময় এসেছে। ট্রাম্প দীর্ঘদিন ধরেই রাশিয়ার বিরুদ্ধে বিবৃতি দিয়ে আসছেন। তিনি ভারতের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছিলেন। ট্রাম্প চান না ভারত রাশিয়া থেকে তেল কিনুক। তিনি বলেছিলেন যে রাশিয়া তার উপার্জন ইউক্রেন যুদ্ধে ব্যয় করছে।
নিষেধাজ্ঞা ভারতে প্রভাব ফেলবে কেন?
এই বছরের জানুয়ারি থেকে জুলাইয়ের মধ্যে ভারত প্রতিদিন প্রায় 1.73 মিলিয়ন ব্যারেল রাশিয়ান অপরিশোধিত তেল আমদানি করেছে। এটি ভারতের মোট তেল আমদানির এক তৃতীয়াংশ, যেখানে আগে ভারত রাশিয়া থেকে কম তেল আমদানি করত। রাশিয়ার কাছ থেকে তেল কেনার বিষয়ে ভারত এখনও পর্যন্ত তাদের অবস্থান পরিষ্কার রেখেছে। তিনি বলেছেন, জনগণের স্বার্থের কথা মাথায় রেখেই তিনি সিদ্ধান্ত নেন। তবে এখন রাশিয়ান কোম্পানির ওপর নিষেধাজ্ঞার প্রভাব পড়তে পারে ভারতেও।



