সম্প্রতি বাংলাদেশে এমন খবর সামনে এসেছে, যা সমগ্র অঞ্চলের নিরাপত্তা উদ্বেগের বিষয় হয়ে উঠতে পারে। অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী মুহাম্মদ ইউনূসের সরকারের একজন জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টার উন্মোচন অনুযায়ী, ইসলামী বিপ্লবী সেনাবাহিনী (আইআরএ) গঠনের প্রথম ধাপ শুরু হয়েছে। 20 অক্টোবর, উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ শজিব ভূঁইয়া বলেছিলেন যে 8,850 জন যুবককে বিভিন্ন কেন্দ্রে নিয়োগ ও প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। তাদের মার্শাল আর্ট, অস্ত্র, তায়কোয়ান্দো ও জুডোর প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।
IRA এর উদ্দেশ্য কি?
সূত্রের মতে, আইআরএ বাংলাদেশকে একটি ইসলামিক রাষ্ট্রে রূপান্তরিত করার লক্ষ্য রাখে এবং ইরানে যেমন দেখা যায় নৈতিক পুলিশিং এবং মৌলবাদী কার্যকলাপের জন্য ব্যবহার করা হবে। ইরানের IRGC-এর আদলে এই সেনাবাহিনী তৈরি করা হচ্ছে এবং বর্তমানে এর ৭টি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ৮,৮৫০ জন প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। প্রশিক্ষণে মার্শাল আর্ট সেশনের পর এক মাস মিলিটারি স্টাইলের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এ জন্য অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা ও আধাসামরিক বাহিনীর লোকজন প্রশিক্ষক হিসেবে উপস্থিত রয়েছেন।
পাকিস্তান ও আইএসআই এর ভূমিকা
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই পরিকল্পনার পেছনে রয়েছে জামায়াতে ইসলামী ও পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই। আইএসআই এবং পাকিস্তানি সেনাবাহিনী অর্থ ও সরঞ্জাম সরবরাহ করছে। মুহাম্মদ ইউনূস পাকিস্তানের জন্য সমুদ্রপথ খুলে দিয়ে বাংলাদেশে অস্ত্র ও গোলাবারুদ সরবরাহ সহজ করে দিয়েছেন।
IRA এর বড় লক্ষ্য এবং ভারতের উপর প্রভাব
ভারতীয় কর্মকর্তাদের মতে, আইআরএর সবচেয়ে বড় টার্গেট হবে ভারত। জামায়াতে ইসলামীর নেতারা প্রকাশ্যে বলেছেন, তাদের ৫০ লাখ যুবক রয়েছে, যারা ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে প্রস্তুত। তারা ভারতে গেরিলা যুদ্ধ এবং গাজওয়া-ই-হিন্দ বাস্তবায়নের পরিকল্পনা করছে।
সেনাবাহিনী ও সরকারের মধ্যে ফাটল
জানা গেছে, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও ইউনূস প্রশাসনের মধ্যে মতপার্থক্য বাড়ছে। কিছু কর্মকর্তা IRA এর পক্ষে, যখন অনেকে এটিকে বিপজ্জনক বলে মনে করেন। অনেক সেনা ও ডিজিএফআই কর্মচারীকে গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এসব ব্যক্তিকে শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ বলে মনে করেন কর্মকর্তারা। এতে সেনাবাহিনীর মধ্যে গভীর ফাটল সৃষ্টি হয়েছে। সূত্রমতে, IRA-এর পরিকল্পনায় 160,000-এরও বেশি লোককে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে, যা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বর্তমান শক্তির সমান। ভবিষ্যতে আরও প্রশিক্ষণ শিবির খোলার সম্ভাবনা রয়েছে।




