রাশিয়া সম্প্রতি বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী পারমাণবিক শক্তি চালিত পানির নিচে টর্পেডো পোসাইডন সফলভাবে পরীক্ষা করেছে। রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিন দাবি করেছেন যে মস্কো 28 অক্টোবর 2025 তারিখে আর্কটিক মহাসাগরে ডুবো ড্রোন ‘পোসাইডন’ পরীক্ষা করেছে। এটিকে একটি বড় অর্জন বলে অভিহিত করে প্যাটিন বলেছেন যে এই অস্ত্রটি একটি পারমাণবিক ইউনিটে সজ্জিত।
ভ্লাদিমির পুতিন বলেন, বিশ্বে এমন অস্ত্র আর নেই, যার শক্তি রাশিয়ার সবচেয়ে বড় আইসিবিএম সারমতের চেয়ে অনেক বেশি। এমতাবস্থায় বড় প্রশ্ন হল ভারত ও আমেরিকার পারমাণবিক অস্ত্র থেকে রাশিয়ার এই অস্ত্র কতটা আলাদা?
রাশিয়ার পোসেইডন কতটা শক্তিশালী?
পসেইডন একটি অত্যাধুনিক অস্ত্র, যা পারমাণবিক শক্তিতে সজ্জিত। ডুবোজাহাজ থেকে এটি উৎক্ষেপণ করা যাবে। এর সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য হল বারবার জ্বালানি যোগ করার প্রয়োজন নেই, কারণ এতে একটি পারমাণবিক জ্বালানী ইউনিট স্থাপন করা হয়েছে। রাশিয়ার সরকারি বার্তা সংস্থা TASS-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এটি 1 কিলোমিটারের বেশি গভীরে পানিতে চলতে পারে।
পসাইডনের গতি, পরিসীমা এবং শক্তি
পসেইডনের ওজন 100 টন, দৈর্ঘ্য 20 মিটার এবং গতি 100 নট। এটি এতই দ্রুত যে কোনো সাধারণ নৌবাহিনী এটি ধরতে পারবে না। এটি এক নজরে পানির নিচে অদৃশ্য হয়ে যাওয়ার ক্ষমতা রাখে। এতে দুই মেগাটন পর্যন্ত পারমাণবিক ওয়ারহেড স্থাপন করা যাবে। পসাইডন কয়েক মিনিটের মধ্যে লন্ডনের মতো ৬টি বড় শহর ধ্বংস করতে পারে বলে দাবি করেছে রাশিয়ান সেনাবাহিনী। এর পরিসীমা সম্পর্কে কথা বললে, এটি 14,000 কিলোমিটারেরও বেশি দূরত্বে শত্রুদের ধ্বংস করতে পারে।
এটি একটি 2 মেগাটন ওয়ারহেড বহন করে, যা হিরোশিমা বোমার থেকে 100 গুণ বেশি শক্তিশালী। এটি আর্কটিক সাগর থেকে উৎক্ষেপণ করে প্রশান্ত মহাসাগরে পৌঁছাতে পারে। বিশ্বের উপকূলীয় শহরগুলির 80 শতাংশ এর পরিসরের মধ্যে পড়ে। এর বিস্ফোরণ সাগরে এমন শক্তিশালী তেজস্ক্রিয় তরঙ্গ সৃষ্টি করবে যে উপকূলীয় শহরটি সুনামিতে তলিয়ে যাবে।
ভারত ও আমেরিকার অস্ত্র কতটা বিপজ্জনক?
ভারতের কাছে বর্তমানে ইন্টারকন্টিনেন্টাল ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র (ICBM) অগ্নি-5 রয়েছে, যার পাল্লা প্রায় 6000 কিলোমিটার। যেখানে 13,000 কিলোমিটার পাল্লার সর্বোচ্চ ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে আমেরিকার। এই দুই দেশের এই ক্ষেপণাস্ত্র অন্য যেকোনো মহাদেশে হামলা চালাতে সক্ষম।
এটিও পড়ুন: ব্রাজিলে মাদক মাফিয়া ‘রেড কমান্ডো’র ওপর পুলিশের প্রাণঘাতী হামলা, হেলিকপ্টার থেকে বোমা বর্ষণ, লাশের স্তূপ




