নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডু এর সৌন্দর্যের জন্য বিখ্যাত। তবে সাম্প্রতিক বিক্ষোভের কারণে পর্যটকদের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেতে দেখা যেতে পারে। তা সত্ত্বেও, আমরা যদি কাঠমান্ডু সম্পর্কে কথা বলি, বিশেষত, তবে এখানে একটি জায়গা রয়েছে যা ভারতের খুব কাছাকাছি। কাঠমান্ডুতে একটি জায়গা রয়েছে, যা দিল্লি বাজার নামে পরিচিত। এটি শহরের একটি প্রধান বাণিজ্য অঞ্চল। একটি historical তিহাসিক গল্প এর নামের পিছনে সংযুক্ত রয়েছে। পুরানো সময়ে, যখন ভারত ও নেপালের মধ্যে ব্যবসায়িক বিনিময় হয়েছিল, দিল্লি এবং উত্তর ভারতের ব্যবসায়ীরা কাঠমান্ডুতে বসতি স্থাপন করেছিলেন। এই ব্যবসায়ীরা এই অঞ্চলে তাদের দোকান এবং আস্তানা তৈরি করেছিলেন। ধীরে ধীরে, স্থানীয় লোকেরা এই জায়গাটিকে দিল্লির বাজার বলতে শুরু করে এবং একই নাম চিরতরে থেকে যায়।
দিল্লি বাজারের গুরুত্ব কেবল নামেই সীমাবদ্ধ নয়। এটি ভারত-নেপাল দীর্ঘস্থায়ী ব্যবসায়িক সম্পর্কের প্রতীক। পুরানো বাণিজ্য রুটে দিল্লি বাজারের একটি বড় ভূমিকা ছিল। এখান দিয়ে দিল্লি, রাকসুল এবং ভারতের আরও অনেক শহরে পণ্য চলাচল ছিল। উত্তর ভারত থেকে ব্যবসায়ী এবং দোকানদাররা এখানে স্থির হয়ে অঞ্চলটিকে একটি বাণিজ্যিক পরিচয় দিয়েছেন। এ কারণে দিল্লি বাজার নেপাল-ভারতীয় সাংস্কৃতিক এবং বাণিজ্যিক সংযোগের সাক্ষ্য হয়ে ওঠে।
সাংস্কৃতিক গুরুত্ব
দিল্লির বাজারটি এখনও ভারত-নেপাল মেইলের এক ঝলক দেখায়। এই অঞ্চলটি সর্বদা উত্সব এবং ভারতীয় চেহারা পূর্ণ। ভারতীয় পণ্য, জামাকাপড় এবং আলংকারিক আইটেমগুলি এখানে দোকানে বিক্রি হয়। কাঠমান্ডুর এই অঞ্চলটিকে একটি প্রধান বাণিজ্যিক কেন্দ্র হিসাবে বিবেচনা করা হয়, যেখানে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ কেনাকাটা করতে আসে।
ইন্দো-নেপাল সম্পর্কের উদাহরণ
দিল্লি বাজার কেবল একটি বাজার নয়, এটি উভয় দেশের ভাগ করা সাংস্কৃতিক heritage তিহ্যের উদাহরণ। এই অঞ্চলটি মনে করিয়ে দেয় যে ভারত ও নেপালের মধ্যে সম্পর্ক কয়েক শতাব্দী ধরে গভীর এবং শক্তিশালী ছিল।
এছাড়াও পড়ুন: নেপালের নতুন সরকারের তিন মন্ত্রী শপথ করেছেন, প্রধানমন্ত্রী সুশিলা কার্কি জানেন যে কোন মন্ত্রণালয়