চীন কিছু ভারতীয় কোম্পানিকে বিরল মাটির খনিজ আমদানির লাইসেন্স দিয়েছে। বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর ২০২৫) বিদেশ মন্ত্রক এই তথ্য দিয়েছে। ভারতে বিরল মাটির খনিজ সরবরাহের উপর নিষেধাজ্ঞা শিথিল করার চীনের সিদ্ধান্ত এমন সময়ে এসেছে যখন উভয় দেশ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছে। পূর্ব লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা (LAC) বরাবর চার বছরেরও বেশি সময় ধরে সামরিক স্থবিরতা দুই দেশের মধ্যে গুরুতর উত্তেজনা সৃষ্টি করেছিল।
ভারতীয় কোম্পানিগুলোকে লাইসেন্স দিয়েছে চীন
বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেছেন, ‘কিছু ভারতীয় কোম্পানি চীন থেকে বিরল মাটির খনিজ আমদানির লাইসেন্স পেয়েছে।’ তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানাননি তিনি।
বৈদ্যুতিক যানবাহন (EVs), ড্রোন এবং ব্যাটারি স্টোরেজ সহ উচ্চ-সম্পন্ন প্রযুক্তি পণ্যগুলির জন্য বিরল পৃথিবীর খনিজগুলি গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়। বিশ্বব্যাপী গুরুত্বপূর্ণ বিরল খনিজগুলির সরবরাহ শৃঙ্খলে চীন একটি প্রধান ভূমিকা পালন করে।
বিরল মাটির খনিজ উত্তোলনে চীন একটি বড় ভূমিকা পালন করে
বিশ্বব্যাপী বিরল আর্থ খনিজ খননে চীনের অবদান প্রায় 70 শতাংশ, যার কারণে বিরল আর্থ খনিজগুলির বৈশ্বিক সরবরাহ শৃঙ্খলে তার ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। চীন 2023 সাল পর্যন্ত ভারতে বিপুল পরিমাণ সার রপ্তানি করত। তবে, বেইজিং গত বছর অনেক দেশে সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে। এটি জুন মাসে বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করে, কিন্তু ভারতে রপ্তানি পুনরায় শুরু করার নিয়মগুলি শিথিল করেনি।
দুই দেশের মধ্যে উন্নত সম্পর্ক গড়ে তোলার উদ্যোগ
চীন দুই সপ্তাহ আগে বিরল আর্থ খনিজ, লিথিয়াম ব্যাটারি এবং বিরল আর্থ খনিজ-ভিত্তিক সুপারহার্ড উপকরণ সম্পর্কিত প্রযুক্তি এবং সরঞ্জাম রপ্তানির উপর নতুন বিধিনিষেধ ঘোষণা করেছে। ভারতীয় কোম্পানিগুলোকে লাইসেন্স দেওয়ার চীনের সিদ্ধান্তকে দুই পক্ষের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নের সামগ্রিক প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
গত কয়েক মাস ধরে, উভয় পক্ষই কৈলাস মানসরোবর যাত্রা পুনরায় শুরু করা এবং ভারত চীনা নাগরিকদের পর্যটন ভিসা প্রদান সহ সম্পর্ক পুনরুজ্জীবিত করার জন্য বেশ কয়েকটি উদ্যোগ নিয়েছে।
এটিও পড়ুন: বাথরুম থেকে 8 কমান্ডো প্রবেশ, 35 মিনিটে অপহরণকারী নিহত… মুম্বাই স্টুডিওতে শিশুদের উদ্ধারের ভিতরের গল্প




