পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ আবারও মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের সুরে যোগ দিয়েছেন। তিনি বলেছিলেন যে পাকিস্তান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের গাজায় যুদ্ধ শেষ করার 20 পয়েন্ট পরিকল্পনাকে স্বাগত জানিয়েছে। শরীফ এটিকে এই অঞ্চলে স্থায়ী শান্তি এবং রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার দিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসাবে বর্ণনা করেছেন।
স্থায়ী শান্তির জন্য দ্বি-জাতির সমাধান প্রয়োজনীয়
শরীফ বলেছিলেন যে ফিলিস্তিনি জনগণ এবং ইস্রায়েলের মধ্যে স্থায়ী শান্তি নিশ্চিত করা এই অঞ্চলে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং অর্থনৈতিক উন্নয়ন আনার ভিত্তি। তিনি দ্বি-জাতির তত্ত্বের বাস্তবায়নকে বাধ্যতামূলক হিসাবেও বর্ণনা করেছিলেন।
ট্রাম্পের ভূমিকার প্রশংসা
প্রধানমন্ত্রী শরীফ আত্মবিশ্বাস প্রকাশ করেছিলেন যে রাষ্ট্রপতি ট্রাম্প এই গুরুত্বপূর্ণ চুক্তিকে বাস্তবে পরিণত করার জন্য সমস্ত সম্ভাব্য সহায়তা দিতে প্রস্তুত। তিনি ট্রাম্পের নেতৃত্বের দক্ষতার প্রশংসা করেছিলেন এবং বলেছিলেন যে আমেরিকান বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফও গাজা যুদ্ধের অবসান ঘটাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।
পাকিস্তানের পরিষ্কার বার্তা
শরীফ বলেছিলেন যে গাজা সংগ্রামের সমাপ্তি এখন একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং তাত্ক্ষণিক বিষয়। তিনি জোর দিয়েছিলেন যে ফিলিস্তিন এবং ইস্রায়েল উভয়ই সমান স্বীকৃতি এবং সুরক্ষা পেলে স্থায়ী শান্তি কেবল তখনই সম্ভব হবে।
গাজা সংগ্রামে আরব লীগের আবেদন
গত সপ্তাহে, আরব লীগ এবং ওআইসির সদস্য দেশগুলি গাজায় তাত্ক্ষণিক যুদ্ধবিরতি এবং পুনর্গঠন এবং স্থিতিশীলতা প্রকল্পের দাবি করেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে বৈঠককালে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
যৌথ বিবৃতিতে মানব ট্র্যাজেডির উল্লেখ রয়েছে
বুধবার জারি করা একটি যৌথ বিবৃতিতে আরব লীগ এবং ওআইসির নেতারা বলেছিলেন, “তারা গাজা উপত্যকার অসহনীয় পরিস্থিতি, মানব দুর্যোগ এবং প্রাণহানির বৃহত্তর ক্ষয়ক্ষতির পাশাপাশি এর আঞ্চলিক ফলাফল এবং পুরো মুসলিম বিশ্বের উপর প্রভাব ফেলেছিল।”
কোন দেশ অংশ নিয়েছিল
সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার, মিশর, জর্দান, তুরকিয়ে, ইন্দোনেশিয়া এবং পাকিস্তানের নেতারা এই সভায় অংশ নিয়েছিলেন। বৈঠকটি যৌথভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং কাতারের আয়োজন করেছিল। এই বৈঠকে পাকিস্তানের প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ।