মার্কিন অর্থনীতি: ডলার দুর্বল হবে, আমেরিকার সিদ্ধান্তে ভারতসহ এই দেশগুলো অনেক লাভবান হবে!

October 30, 2025

Write by : Tushar.KP



অর্থনীতির দিক থেকে আমেরিকা বিশ্বের বৃহত্তম দেশ, যার জিডিপি $30.507 ট্রিলিয়ন। এদিকে আমেরিকার কেন্দ্রীয় ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠান ফেডারেল রিজার্ভ আবারও সুদের হার কমানোর ঘোষণা দিয়েছে। এই কমানোর পরে, মূল হার এখন 3.9 শতাংশ হয়েছে, যা আগে 4.1 শতাংশ ছিল। এই সিদ্ধান্ত এমন এক সময়ে এসেছে যখন আমেরিকার অর্থনীতি সরকারি বন্ধ এবং কর্মসংস্থান বৃদ্ধির হার হ্রাসের সম্মুখীন হচ্ছে। তবে, ফেড বলছে যে এই পদক্ষেপটি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টিকে উত্সাহিত করার জন্য প্রয়োজনীয় ছিল।

হার কমানোর ঘোষণা দিয়ে, ফেডারেল রিজার্ভের চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েল বলেছেন যে সরকারী শাটডাউন অবশ্যই অর্থনৈতিক কার্যকলাপকে প্রভাবিত করেছে, তবে এই প্রভাব স্থায়ী হবে না। তিনি বলেন, সরকারি কাজ স্থবির হয়ে পড়ায় কর্মসংস্থান ও মূল্যস্ফীতির সরকারি পরিসংখ্যান প্রকাশ হচ্ছে না। এ কারণে বর্তমানে ফেডকে নির্ভর করতে হচ্ছে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে পাওয়া অর্থনৈতিক সংকেতের ওপর।

কর্মসংস্থান হ্রাস এবং মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধি হার হ্রাসের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে ফেড গত দুই বছরে সুদের হার বাড়িয়েছে ৫.৩ শতাংশ। ইতিমধ্যে, কর্মসংস্থানের গতি হ্রাস পেয়েছে, নতুন কাজের সুযোগ হ্রাস পাচ্ছে এবং ভোক্তা ব্যয় হ্রাস পেয়েছে। মুদ্রাস্ফীতির হার এখন প্রায় ৩ শতাংশ, যা ফেডের লক্ষ্যমাত্রা ২ শতাংশের চেয়ে বেশি। এই সত্ত্বেও, পাওয়েল বলেছিলেন যে এখন অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং কর্মসংস্থান বাড়ানোর উপর ফোকাস করা হবে, কারণ খুব কঠোর মুদ্রানীতি বাজারে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

আমেরিকান জনগণ এবং বিশ্বের উপর প্রভাব
ফেডারেল রিজার্ভের এই সিদ্ধান্ত সাধারণ আমেরিকান নাগরিকদের স্বস্তি দেবে বলে আশা করা হচ্ছে। ঋণের কিস্তি সস্তা হবে, বাড়ি ও যানবাহনের সুদের হার কমবে এবং ব্যবসায়িক ঋণ নেওয়া সহজ হবে। তবে সেভিংস অ্যাকাউন্টে সুদ কমার সম্ভাবনা থাকবে। এই পদক্ষেপ বৈশ্বিক পর্যায়েও গুরুত্বপূর্ণ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিম্ন হারের কারণে ডলার দুর্বল হতে পারে এবং এতে ভারতসহ এশিয়ার দেশগুলোতে বিনিয়োগ বাড়তে পারে।

সরকারী শাটডাউন একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে
সরকার এবং কংগ্রেসের মধ্যে বাজেট বিরোধের ফলে আমেরিকায় বর্তমানে ফেডারেল শাটডাউন চলছে। লাখ লাখ সরকারি কর্মচারী বেতনহীন এবং অনেক দপ্তরের কাজ স্থবির হয়ে পড়েছে। পাওয়েল বলেন, সরকারি তথ্যের অভাবে ফেডের নীতি নির্ধারণ করা কঠিন হয়ে পড়েছে। এ কারণে ডিসেম্বরে অনুষ্ঠেয় পরবর্তী বৈঠকে হার কমানোর সিদ্ধান্ত নির্ভর করবে পরিস্থিতির ওপর।

এছাড়াও পড়ুন: ‘…তাহলে পৃথিবীর মুখ থেকে মস্কোর নাম ও চিহ্ন মুছে যাবে’, কেন পুতিনকে হুমকি দিলেন বেলজিয়ামের প্রতিরক্ষামন্ত্রী?



Source link

Scroll to Top