মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ন্যাটোকে চীনে 50 থেকে 100 শতাংশ শুল্ক আরোপ করার জন্য আবেদন করেছেন। তিনি বিশ্বাস করেন যে এটি রাশিয়ার উপর চীনের অর্থনৈতিক অবস্থানকে দুর্বল করবে এবং ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান ঘটাবে। এর সাথে সাথে তিনি সমস্ত ন্যাটো দেশকে রাশিয়া থেকে তেল কেনা বন্ধ করতে এবং এতে কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার দাবি করেছেন।
চীনের উপর শুল্ক আরোপ করার আবেদন করুন
ট্রাম্প শনিবার (১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫) ন্যাটো দেশগুলিকে একটি চিঠি লিখেছিলেন যে সমস্ত সদস্য দেশ যদি রাশিয়া থেকে তেল কেনা বন্ধ করে এবং রাশিয়ার উপর একটি বৃহত স্কেল নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে, তবে তারা রাশিয়ার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতেও প্রস্তুত। ট্রাম্প সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টের মাধ্যমে বলেছিলেন, “আমি রাশিয়ার উপর বড় বিধিনিষেধ আরোপ করতে প্রস্তুত, তবে কেবল যখন ন্যাটো সমস্ত দেশ সর্বসম্মতিক্রমে এই ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করে।”
ট্রাম্পের টার্গেট চীন ভারতের পরে
ডোনাল্ড ট্রাম্পের এই আবেদনটি গত মাসে আরোপিত অতিরিক্ত 25% শুল্কের সাথে জড়িত, যা তিনি ভারতের উপর চাপিয়ে দিয়েছিলেন। এর কারণটি ভারতের রাশিয়ার কাছ থেকে ঘন ঘন গুরুত্ব বলে মনে করা হয়েছিল। তবে এখন পর্যন্ত চীনে অনুরূপ কোনও শুল্ক ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। ট্রাম্প বলেছেন যে রাশিয়া-ইউক্রেনের সংগ্রাম যদি বাতিল না করা হয় তবে চীন ও ভারতের মতো বড় তেল ক্রেতাদের বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বৈশ্বিক ভূ -রাজনীতিতে প্রভাব
ট্রাম্পের এই প্রস্তাব বিশ্বব্যাপী ভূ -রাজনৈতিক আন্দোলনকে তীব্র করতে পারে। ন্যাটো দেশগুলির মধ্যে চীন এবং রাশিয়া সম্পর্কিত ব্যবসায়িক সম্পর্কের বিষয়েও প্রশ্ন উত্থাপিত হবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই জাতীয় পদক্ষেপকে যুদ্ধের পক্ষে কার্যকর চাপ হিসাবে দেখা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বিশ্বাস করেন যে এটি রাশিয়ার অর্থনৈতিক পরিস্থিতির উপর গভীর প্রভাব ফেলতে পারে এবং ইউক্রেনের যুদ্ধের অবসানের সম্ভাবনা বাড়িয়ে তুলতে পারে।
ট্রাম্পের বার্তা পরিষ্কার
ট্রাম্প স্পষ্টভাবে বলেছেন যে তাঁর উদ্দেশ্য রাশিয়াকে আর্থিকভাবে দুর্বল করা যাতে যুদ্ধ শেষ হতে পারে। এর জন্য, তিনি ন্যাটো দেশগুলিকে সংহতির বার্তা দিয়েছেন এবং চীনা সংস্থাগুলি এবং অন্যান্য দেশের সাথে সহযোগিতা বন্ধ করার জন্য কঠোর আবেদন করেছেন।