দক্ষিণ কোরিয়া এই মাসের শেষের দিকে এশিয়া-প্যাসিফিক ইকোনমিক কো-অপারেশন (APEC) শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজক হওয়ার কথা রয়েছে। ২১টি প্রধান দেশের নেতারা এই সম্মেলনে অংশ নেবেন। তবে তার আগে, উত্তর কোরিয়া বুধবার বেশ কয়েকটি স্বল্প-পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে, যা এই অঞ্চলে নিরাপত্তা এবং কূটনৈতিক উদ্বেগ বাড়িয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সম্মেলনের প্রস্তুতির মধ্যে এ ধরনের উৎক্ষেপণ আরও বাড়তে পারে।
ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ এবং লক্ষ্য করা
দক্ষিণ কোরিয়ার সেনাবাহিনী জানিয়েছে, পূর্ব সাগর (জাপান সাগর) দিকে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছিল এবং তাদের ফ্লাইট প্রায় 350 কিলোমিটার চলেছিল। প্রাথমিক অনুমান ছিল যে তারা সমুদ্রে পড়ে যাবে, কিন্তু পরে সেনাবাহিনী নিশ্চিত করে যে তারা আন্তর্জাতিক সীমান্তের মধ্যে পড়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ার জয়েন্ট স্টাফ বলেছে যে তারা সম্ভাব্য নতুন উৎক্ষেপণ পর্যবেক্ষণ করছে এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও জাপানের সাথে গোয়েন্দা তথ্য ভাগ করে সতর্কতা অবলম্বন করছে। দক্ষিণ কোরিয়ার নতুন প্রেসিডেন্ট লি জে মিউং ক্ষমতায় আসার আগে উত্তর কোরিয়াও মে মাসে স্বল্প-পাল্লার ব্যালিস্টিক এবং ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছিল।
কিম জং উনের নতুন ক্ষেপণাস্ত্র ও সামরিক প্রদর্শন
এই মাসের শুরুতে, উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন পিয়ংইয়ংয়ে অনুষ্ঠিত একটি সামরিক কুচকাওয়াজে নতুন হাওয়াসং -20 আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রদর্শন করেছিলেন। এটিকে উত্তর কোরিয়ার সবচেয়ে শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্র হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। এই কুচকাওয়াজে চীন, রাশিয়াসহ বিশ্বের অন্যান্য নেতৃবৃন্দও উপস্থিত ছিলেন। ওয়ার্কার্স পার্টির ৮০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এই কুচকাওয়াজের আয়োজন করা হয়।
উত্তর কোরিয়ার নীতি
পিয়ংইয়ং বারবার বিশ্বব্যাপী নিষেধাজ্ঞাকে চ্যালেঞ্জ করেছে এবং বলেছে যে সম্ভাব্য মার্কিন ও দক্ষিণ কোরিয়ার হুমকির বিরুদ্ধে রক্ষার জন্য অস্ত্র কর্মসূচি প্রয়োজনীয়। চলতি বছর আবারও কিমের সঙ্গে সাক্ষাতের সম্ভাবনা প্রকাশ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। উত্তর কোরিয়াও স্পষ্ট করেছে যে তারা তাদের পারমাণবিক অস্ত্র ত্যাগ করবে না, তবে আলোচনার জন্য প্রস্তুত।




